মোস্তফা কামাল, কেশবপুর (যশোর)প্রতিনিধিঃ
সাবেক ব্যাংকার খন্দকার শফি। গ্রামের বাড়ি কেশবপুরের ব্রহ্মকাটি গ্রামে। থাকেন ঢাকায়। করোনা শুরুর প্রথম দিকেই চলে আসেন গ্রামে। করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকায় ফেরেননি। সিদ্ধান্ত নেন মাল্টা চাষ করবেন। ৩ বিঘা জমিতে বারি ওয়ান /পয়সা মাল্টা চাষ শুরু করেন। মাল্টার পিছনে একটা ফুটো পয়সার দাগ আছে বলেই এর নাম বারি ওয়ান পয়সা মাল্টা। তার বাগানে ৫শত মাল্টা গাছ লাগানো আছে।বর্তমানে তার বাগানে লাগানো মাল্টা চাষ বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে। মাল্টা চাষ করে তিনি এখন সফল। গত ১ সপ্তাহে ১৫ মন মাল্টা বিক্রি করেছে। যার থেকে আয় হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। প্রতিনিয়ত মাল্টা বিক্রি অব্যাহত রয়েছে।
সরোজমিন গিয়ে দেখা যায় খন্দকার শফি ও ১১ জন কৃষক মাল্টা বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছে। অনেকেই দেখতে এসে তার বাগান থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তাজা ও ভেজালমুক্ত মাল্টা।মাল্টা বাগান দেখতে আসা সৈকত হোসেন বলেন, লোকমুখে খবর পেয়ে বাগান দেখতে এসে সদ্য উঠানো পাকা মাল্টা খেয়ে ভালো লাগায় বাড়ির জন্য ২ কেজি মাল্টা কিনেছি।
মাল্টা চাষী খন্দকার শফি বলেন, ৩ বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করেছি। প্রতিটা গাছেই ফলন ধরেছে। আর মাল্টাগুলো খেতেও সুস্বাদু। ইতিমধ্যে ১৫ মণ বিক্রি শুরু করেছি। আগামীতে বাগান বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে।
উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ বলেন কৃষক খন্দকার শফি মাল্টা বাগান শুরুতেই পরামর্শ দিই। প্রথম ফলনে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।